সূচি শিল্প
যশোর জেলা সূচি শিল্পের সূতিকাগার। যশোরের মেয়েরা সূই সুতা হাতে নিলেই তা হয়ে উঠে শিল্পময়। কাথা, বিছানার চাদর, কুশন কভার, ওয়ালমেট থেকে শুরু করে শাড়ী, থ্রি পিস কিম্বা পাঞ্জাবী ফতুয়ায় অথবা হালের কার্টচুপিতে নারীদের শিল্প কর্ম দেশের সীমানা ডিঙ্গিয়ে নাম করেছে আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে। আরবপুরের নারীগণও সেই গর্বিতদের একাংশ। আরবপুরে ব্যক্তি ও বিভিন্ন সংগঠন গড়ে উঠেছে এ কাজের জন্য। মহিলা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কিম্বা বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে পরিচালিত প্রশিক্ষন গ্রহণ করে তারা পরিণত হয়েছেন মানব সম্পদে। দক্ষ শিল্পীর মতো রেশমী সুতো আর কাপড়ের বুননের মাঝে আকছেন জীবনের বদলে যাবার চিত্র। কেউবা সেলাই মেশিনের চাকার সাথে প্রতি নিয়ত ঘুরিয়ে চলছেন ভাগ্যের চাকা। আরবপুরের প্রতিটি গ্রামেই আছে এ সব কর্মকান্ড।
বাশ শিল্প
আরবপুরের ৪ নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম সুজলপুর। এখানে অবস্থিত ঋষিপাড়া। এ পাড়ার মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল বাশের তৈরী বিভিন্ন দৈনন্দিন গৃহস্থালী সামগ্রী। ঝুড়ি, ডালা, কুলা, পলুই, পাটা অথবা মাছ রাখা খালই। লোকজ উতসবে বাশের তৈরী উপকরণের বিকল্প নেই। বাঙালী সংষ্কৃতির ধারক এসব শিল্পকর্ম প্লাস্টিকের আগ্রাসনে হারাতে বসেছে । তবু আজো অনেকেই ধরে রেখেছেন পূর্বপুরুষদের গৌরবময় এ শিল্প। এখনো সুজলপুরের পথে হাটলে দেখা যাবে রাস্তার পাশে বসে আনমনে কাজ করে চলেছেন এ সব শিল্পীরা। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আজো হতে পারে একটি সম্ভাবনাময় শিল্প হিসাবে।
মৃৎ শিল্প
আরবপুরের ৬ নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম মন্ডলগাতি। পুলেরহাট বাজার থেকে কয়েকশ সামনে এগোলেই এ গ্রামের শুরু। এ গ্রামের মৃৎ শিল্পীদের অবস্থান পাল পাড়া হিসাবে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও তৈরী করছেন বিভিন্ন মাটির উপকরণ। কাদা মাটি দলে মন্ড তৈরী করা, বিভিন্ন আকৃতির ফুল, পাখি, মাছ, মোরগ অথবা ব্যাংক তৈরী, রোদে শুকানো, খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পেড়ানো সবই করছে তারা। শুধু কি এ সব। মাটির বিভিন্ন পাত্র, টালি, চাড়ি সবই তৈরী হচ্ছে এ সব শিল্পালয়ে। হাহাকার তাদের কণ্ঠেও বাচাতে হবে এ শিল্পকে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS