আরবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড পতেঙ্গালী গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মেঠো পথ ধরে মালসাদহ দূর্গাপুর সড়কে কিছুদের আগালেই ডান হাতে দেখা মিলবে পদ্ম বিলের। সারি সারি পদ্ম আর পদ্মপাতার সমারোহ। মুরুব্বীরা বলেন,আগেকার দিনের কোন শাদী মেজবানে এখনকার মত ডেকোরেটরের ভাড়া করা থালা বাসন মিলতো না। সে সময় অতিথি আপ্যায়ণ করা হতো পদ্মের পাতায় খাবার পরিবেশন করে। সে সময় এলাকাবাসীর পদ্ম পাতার যোগান দিতো ডানে পদ্ম বিল আর বামের কানা পুকুর। বর্ষায় থৈ থৈ করে বিলের পানি। বিলের বুকে ডিঙ্গি নৌকো আর তালের ডোঙ্গায় করে ঘুরতে হয়। শরতে কাশফুলের শুভ্রতায় বিমোহিত করতো যে কাউকেই। আকাশে পেজা তুলার মত ভাসমান পুঞ্জ মেঘ আর নীচে দিগন্ত জোড়া কাশের ঝাড় দুরন্ত কৈশরকে অনুপ্রাণিত করে এখনো। শুধু পদ্ম আর পাতাই নয়,দেশী মাছের ভান্ডার ছিল পদ্ম বিল। কৈ শিং মাগুরের মজুদ থাকতো এখানে। শীতে পানি কমতেই পলুই, কোচ আর হাতড়িয়ে মাছ ধরতে জলে নেমে পড়তো সবাই। চারিদেকে উতসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়তো সে সময়। কালের বির্বতনে যৌবনা পদ্মবিল আজ পৌঢ়ত্বে উপনীত। তবু অতীতের কথা মনে করিয়ে দিতেই বুকের রক্তে রঙ্গীন করে পদ্ম আর শাপলাকে । বুকের রক্তক্ষরণের কথা নিরবে সবাইকে মনে করিয়ে দেয় এত দিন তোমাদের কত কিছু দিয়েছি বিনিময়ে কিছুই চায়নি। আজ শুধু তোমাদের কাছেএকটিই চাওয়া। আমি বাচতে চায়। এটা কি খুব বেশী কিছু চাওয়া তোমাদের কাছে?
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS