Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
গ্রীষ্মকালীণ টমটো চাষ
বিস্তারিত

আরবপুরের কৃষিতে নিরব বিপ্লব ঘটিয়েছে গ্রীষ্মকালীন টমেটো। এক সময় এ অঞ্চলে ধানই ছিল প্রধান কৃষি পণ্য। কেউ জমিতে পাটও লাগাতেন। পাটে আশানুরুপ লাভ না পেয়ে অনেক কৃষক পাট চাষ বন্ধ করে দেন। সে সময় একচ্ছত্র আধিপত্য ধানের। কখনো সখনো বোরো মৌসুমে কেউ ছোলা বা ডালের চাষ করতেন । তাও অনিয়মিত। বছর চারেক আগে পতেঙ্গালী কবিরাজ বাড়ীর আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বিল্লাল হোসেন মিলন শখের বসে শুরু করেন গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ। কৃষিতে ডিপ্লোমাধারী মিলন সহজেই রপ্ত করেন এর চাষ প্রণালী। যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আগে থেকেই চাষ শুরু হয়েছিল গ্রীষ্মকালীন টমোটোর। সেখান থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে  শুরু করেন মিলন। প্রথমবারেই সফল হন তিনি। পরবর্তীতে আরো বেশী জমিতে টমেটোর চাষ করেন তিনি। তাকে আর পেছনে ফিরতে হয়নি। সফলতার সাথে চাষ করতে থাকেন টমেটোর। তার দেখাদেখি অনুপ্রাণিত হন আরো অনেকে। দেখতে দেখতে এ চাষ ছড়িয়ে পড়ে পতেঙ্গালী, বিপতেঙ্গালী সহ অন্যান্য গ্রামে। আরবপুরের কৃষি জমিতে চোখ দিলেই দেখা মিলবে বাশের চটা আর পলিথিনের ছাওনী দেয়া শেড। যেখানে প্লট প্লট আকারে লাগানো আছে গ্রীষ্মকালীন টমেটো। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কাজ করছে নিজেদের টমেটো ক্ষেতে। বিঘা প্রতি ফলন ২.৫ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা। শুধু শখের বশেই নয় টমেটো চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই। আত্মকর্মসংস্থানে বাস্তব উপমায় পরিণত এখন গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ।